আপনি নিজে যা করেন না, অন্যকে তা করার উপদেশ দিবেন না!

আপনি নিজে যা করেন না, অন্যকে তা করার উপদেশ দিবেন না!

আপনি নিজে যা করেন না, অন্যকে তা করার উপদেশ দেবেন না! কারণ বলা সহজ, কিন্তু করা খুবই কঠিন। নিজে কোন কঠিন পরিস্থিতির মুখে না পড়ে সে বিষয়ে অন্যকে বিশেষ কোন উপদেশ দেয়া এক ধরণের বোকামি। মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক খারাপ অভ্যাস বা দোষ আছে। এমন সব দোষ যার কারণে আপনি নিজেই ন্যায় নীতিতে অটল থাকতে পারেন না। যেখানে নিজেই ঠিক নাই, সেখানে অন্যকে উপদেশ দেয়া বোকামীর কাজ। উপদেশ মারাত্মক ক্ষতিকর না হলেও আমাদের জীবনে অনেক জটিলতা ও সমস্যার সৃষ্টি করে। উপদেশ দেবার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের কোন ক্ষতি নেই। তাই আমরা সবাই এ কাজটি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে করে থাকি।

আপনি নিজে যা করেন না, অন্যকে তা করার  উপদেশ দিবেন না!

উপদেশ দেবার ক্ষেত্রে আপনি যতটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ঠিক ততোটাই অবহেলা করেন উপদেশের প্রয়োগে অন্যের লাভ না ক্ষতি হবে তার বিচারে। প্রায় সব উপদেশে আমাদের ক্ষতিই বেশী হয়। আপনি বিপদে পড়লে আশ পাশের লোকজন অতি উৎসাহ নিয়ে যেঁচে পরে আপনাকে অনেক উপদেশ দেবেন। যা আগেই প্ল্যান করা এবং তাদের উপদেশে আপনার ক্ষতি হবার খুব বেশী সম্ভাবনা আছে। কারণ আপনার ক্ষতি থেকে সুবিধা বা ফায়দা লুটে নেয়া তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য। আজকাল সমাজের অনেক স্বনাম ধন্য, শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি জন সন্মুখে উপদেশের বুলি আওড়ান। যা নিতান্তই লোক দেখানোর জন্য উপদেশ এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়ে তা করেন।

আপনি নিজে যা করেন না, অন্যকে তা করার  উপদেশ দিবেন না!

তারা জন সন্মুখে বিভিন্ন হিতোপদেশ দেন। আবার লোক চক্ষুর আড়ালে তারাই আপনাকে দেয়া উপদেশ পরিপন্থী অনেক জঘণ্য কাজ করেন। সভ্য সমাজে আবর্জনার মত বেড়ে ওঠা অনেক রথি মহারথিই দিনের আলোতে জন হিতকর উপদেশের পসরা সাজিয়ে বসেন। তারাই আবার রাতের অন্ধকারে নোংরামীতে নিমজ্জিত হন। সুতরাং সমসাময়িক কালে কে নিজেকে সংশোধন করে উপদেশ দিচ্ছেন আর কে যে ফাঁকা মাঠে গুলি ছুড়ছেন সেটা বোঝা খুবই দুষ্কর। এই লেখার মাধ্যমে আমদের নৈতিক চরিত্রের একটা ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাস্তব ক্ষেত্রে আপনি বা আমি ঠিক কত টুকু ভাল বা খারাপ তা শুধু আমরা নিজেরা অনুমান করতে পারি।

আপনি যখন কোন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। সেই সময়ে সমস্যা সমাধানের জন্য যে পথ বা পদ্ধতি অথবা সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা বা বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছেন। তার আলোকে মানুষকে উপদেশ দিন। এতে একজন মানুষ বিপদে পড়া থেকে বেঁচে যাবে অথবা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। নিজে না করে আপনার মনগড়া উপদেশ কারো উপর চাপিয়ে দেবেন না। এর ফলে তার উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবার সম্ভাবনাই বেশী। তাই পরবর্তীতে বোকা সাজার চাইতে এবং অপরাধবোধে জর্জরিত হবার চাইতে এমন উপদেশ না দেয়াই উত্তম।

Leave a Reply