অন্ধকারে বুঝা যায় খাঁটি হীরা, মিথ্যায় বুঝা যায় সত্য

অন্ধকারে প্রমাণ হয় খাঁটি হীরার আর মিথ্যায় বেড়িয়ে আসে আসল সত্য!

অন্ধকারে প্রমাণ হয় খাঁটি হীরার আর মিথ্যায় বেড়িয়ে আসে আসল সত্য। জাগতিক সব কিছুর মুল্য নির্ধারণে খারাপ বিষয় বা বস্তুর উপস্থিতি বা দ্বন্দ চিরকাল। যা সৃষ্টির শুরু থেকে ছিল, আছে এবং পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত থাকবে। অন্ধকারে কেউ থাকতে চায় না, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। শুধু মানুষ নই, সমস্ত সৃষ্টিকূল সব সময় নিজের জন্য যা ভালো। মঙ্গলময় এবং কল্যাণকর তা কামনা  করে এসেছে। কিন্তু ঠিক কোন জিনিস, বিষয় বা অবস্থা আমাদের জন্য ভালো হবে। তা একা ঠিক করার ক্ষমতা আমাদের নেই। মুল্য নির্ধারণের জন্য অন্ধকারে থেকে আলোকে বুঝতে হবে। ভালোর সাথে মন্দের তুলনা করতে হবে।

অন্ধকারে প্রমাণ হয় খাঁটি হীরার আর মিথ্যায় বেড়িয়ে আসে আসল সত্য!

আমাদের কাছে, সম্ভবত এখন পর্যন্ত হীরা একমাত্র সব চেয়ে বেশী মুল্যবান বস্তু যার খাঁটি বুঝা যায় অন্ধকারে। যে জিনিস আসল বা প্রকৃত তার একটি অনন্য ও অনুপম বৈশিষ্ট সব সময় থাকে। প্রকৃতির কথা বাদ দিলে। চেষ্টা করলে, একটি সৃষ্টির আদলে আপনি হয়তো তার চাইতে ভালো বা উন্নত কিছু তৈরী করতে পারেন। আবার একই জিনিস তার চেয়ে খারাপ মানেরও তৈরী করতে পারেন। কিন্তু ঠিক অন্যের মত হুবহু করা সম্ভব নই। মানুষ মেধা এবং সৃষ্টিকর্তার দেয়া ক্ষমতায় অতি মুল্যবান হীরক খন্ড তৈরী করতে পারে। কিন্তু  আসল হীরার সব বৈশিষ্ট দিতে পারে না। প্রাকৃতিক ক্ষমতায় আসল হীরার খন্ড নিকষ অন্ধকারে আলোর দ্যুতি ছড়ায়।

অন্ধকারে প্রমাণ হয় খাঁটি হীরার আর মিথ্যায় বেড়িয়ে আসে আসল সত্য!

উপরের কথাগুলো বোঝার জন্য আমি উল্লেখ করেছি মাত্র। মুল প্রসঙ্গ, অন্ধকারে আলো এবং মিথ্যার ভিতর দিয়ে আসল সত্য বেড়িয়ে আসে। আমার এ কথা হয়তো আপনাদের কাছে বেখাপ্পা লাগতে পারে। কিন্তু বাস্তবতার মাপ কাঠিতে এটা নিঃসন্দেহে সঠিক। ধরি, কোন একজন ব্যক্তি, অপর এক ব্যক্তিকে খুন করেছে। আদালতে এই ব্যক্তির অপরাধের বিচার কাজ চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বরাবরই দাবী করে আসছে, সে নিরপরাধ এবং খুন করেনি। এখানে উকিল বা কৌসুলীরা তার বলা মিথ্যা কথাকে মুল হিসেবে ধরে বিভিন্ন ভাবে জেরা করে খুনের যে ঘটনা তা প্রমাণ করছেন। এমন ভাবে আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনার আসল সত্যটা, মিথ্যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে।

অন্ধকারে প্রমাণ হয় খাঁটি হীরার আর মিথ্যায় বেড়িয়ে আসে আসল সত্য!

হাতে নাতে ধরা খাওয়া বা অপরাধীর অপরাধ প্রকাশ হবার ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। প্রায় সব ক্ষেত্রে মিথ্যা দিয়ে সত্য প্রকাশ পায়। আমরা জেনে বুঝে আমাদের জন্য কষ্টদায়ক ও বিপরীত ক্রিয়ার বিষয় গুলোকে এড়িয়ে যাই, যা আদৌ ঠিক নই। এক বার ভাবুন তো অজানা, মন্দ, কষ্ট, দুঃখ, কান্না, বিরহ, অন্ধকার, মিথ্যা ইত্যাদি বিষয় গুলো যদি না থাকতো তবে জানা, ভালো, আনন্দ, সুখ, হাসি, মিলন, আলো, সত্যের আসলে কোন মুল্য থাকতো কি। অন্ধকারে আলোর ছটা, এটা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত।

Leave a Reply