বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের বন্ধন!

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সহযোগীতার সুন্দর বন্ধন! কথাটি পারস্পারিক সহযোগীতায় আমাদের ইতিবাচক মনের প্রতি আহবান মাত্র। এটা হতে পারে কারো মনের না বলা কথা। যা আমরা জানি না, বা জেনেও বুঝি না অথবা বুঝতে চেষ্টা করি না। আজকাল বন্ধুত্বের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্র আপনার সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা অনেক গুণ বেড়েছে। আপনার সামান্য বন্ধু ভাবাপন্ন মনোভাব হয়তো কারো জীবনের পথে পথ চলার প্রথম অনুপ্রেরণা। কেউ চাইলেই সব ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে না। আবার কাউকে সাহায্য করার জন্য আমাদের যে মানসিকতার দরকার তা সবার মধ্যে নেই। বন্ধুত্বে একে অপরকে সামান্য সাহায্য করলে অনেকেরই বড় উপকার হয়।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

এক সময় বন্ধু এবং বন্ধুত্বে চোখের দেখা, চেনা এবং জানার বিষয় বিরাট ভুমিকা রাখত। এটা ছিল তিন যুগ আগের কথা। যুগের পালা বদলের সাথে সাথে এ গল্পও পাল্টে গেছে। আমরা আজ আধুনিক সমাজের বাসিন্দা। তাই বন্ধু ও বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও তথ্য প্রযুক্তির অদৃশ্য হাত ধরে এক ভিন্ন মাত্রার বন্ধুত্বে প্রবেশ করেছে। এখন বন্ধুত্বে সরাসরি চোখের দেখা, চেনা এবং জানার বিষয় খুব একটা গুরুত্ব পায় না। গুরুত্ব পায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত থাকা। বন্ধু এবং বন্ধুত্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পুর্ণ রুপে একটি বৈচিত্রময় মাত্রা যোগ করেছে। আমরা এখন দুই এক জন বন্ধুর পরিবর্তে হাজার হাজার বন্ধুর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করি।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

বর্তমানে চোখে দেখে, জেনে শুনে একটা আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয় না তা কিন্তু বলছি না। এমন বন্ধুত্বও হয় তবে খুব কম। সময় কোথায়! স্বাভাবিক কাজ কর্মের পরে আমাদের হাতে যে সময়টা থাকে তা আমরা ব্যয় করি অন লাইনে অথবা সোস্যাল মিডিয়াতে। যার ফলে প্রতিদিন একজন দুইজন বন্ধুত্ব থেকে হাজার হাজার বন্ধুত্বের জগতে প্রবেশ করেছি। যেখানে খারাপের চেয়ে ভালো দিকই বেশী রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামান্য যে খারাপ প্রভাব আসে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আগে সবার সাথে মুখোমুখি যোগাযোগে সময়ের অভাব হতো এখন তেমনটা হয় না। কারণ এখন বন্ধুত্বে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রার তথ্য প্রযুক্তি।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

তথ্য প্রযুক্তির কারণে একই সাথে আমরা অল্প সময়ে অনেক অনেক বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি। তাদের সাথে কুশল বিনিময় করতে পারছি। বর্তমানে আমাদের মেসেন্জার, ভাইবার, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক বা অন্য কোন সোস্যাল একাউন্টে এক হতে কয়েক হাজার পর্যন্ত বন্ধু রয়েছে। ধরুন কারও ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে চার হাজার আবার টুইটারে পাঁচ হাজার বন্ধু আছে। ভাবতে পারেন একজন মানুষের বিচারে এ সংখ্যাটা কতো বেশী। মজার বিষয় হলো তিনি কিন্তু সময় করে, অত্যন্ত অল্প সময়ে সবার সাথেই বেশ ভালো যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তার পক্ষে এটা সম্ভব হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কারণে। তথ্য প্রযুক্তি এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ বিপ্লবের দাবীদার।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

বিষয়টি এমন! সেকালের এক বা দুই জন বন্ধুর জাগায় বর্তমানে আপনি হাজার জনের সাথে বন্ধুত্বে স্বাচ্ছন্দতা বজায় রাখতে পারছেন। আপনি যদি এ জটিল যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। তবে অন লাইনে থেকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাহায্যও করতে পারবেন নিঃসন্দেহ। আমি বিশেষ কারণে আমাদের দেশের অবস্থা এবং বন্ধুকে সাহায্যের বিষয়ে লিখছি। অন্য কোন দেশ বিবেচনায় নই। আমরা শতকরা প্রায় আশি জন মানুষ কোন না কোন ভাবে ইন্টারনেট বা সোস্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত। এই আশি জন কে হিসেবে ধরলে তার পঞ্চাশ জনই বেকার। তাররপরও সখ করে, আত্মতৃপ্তি, প্রসংশা পাওয়া বা শুধুমাত্র প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে তারা যুক্ত আছেন।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

সোস্যাল মিডিয়ায় আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত প্রোফাইল আছে। সেই সাথে অনেকের গ্রুপ বা পাতাও আছে। এ সব মিডিয়া কনটেন্ট কোন না কোন ভাবে গুগল এর সাথে সংযুক্ত আছে। এখানে একটা বিশেষ শাখা নিয়ে শুধু মাত্র আলোকপাত করছি। নিজ অর্থ খরচ ও মুল্যবান সময় নষ্ট করে বিনা উদ্দেশ্যে এ ভাবে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো। শক্ত কারণ ছাড়া অর্থ ব্যয় করে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করা ঠিক নই। ঠিক যতটুকু আপনার একান্ত প্রয়োজন ততোটুকু সময় বা অর্থ খরচ করুন। সব চেয়ে ভালো হলো সোস্যাল প্লাটফর্মকে বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ রেখে উপার্জনের পথে পরিণত করা। আপনি চাইলেই তা সম্ভব।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

অন লাইন থেকে যদি আপনার আর্থিক আয়ের একটি পথ হয় তবে তা খুবই চমৎকার একটি বুদ্ধি। আপনার অর্থ দিয়ে কেনা ডাটা, সময় এবং প্রতিভা কে কাজে লাগিয়ে উপার্জনের একটি নতুন পথ সৃষ্টি করতে পারেন। এটা হতে পারে আপনার লেখা, পোষ্ট, ছবি, কার্টুন ইত্যাদি। কোন কিছু শেয়ার, মন্তব্য বা পড়েও উপার্জন সম্ভব। আজকাল অনেক অনেক চাকুরী রয়েছে যা সম্পুর্ণ অন লাইন ভিত্তিক। আপনি আপনার যোগ্যতা এবং সুবিধা মত যে কোন আয়ের পথ বেছে নিতে পারেন। এমন কাজে অফিসের মত সময়ের কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং সুবিধাজনক পরিবেশে এ সব কাজ করা যায়।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সম্পর্কের  বন্ধন!

প্রাথমিক ভাবে এ সব কাজ আপনার কাছে কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। একজন বিচক্ষণ এবং এ জাতীয় কাজ যিনি করছেন, এমন কারও সাহায্যও নিতে পারেন। এক সময় অন লাইন ভিত্তিক কাজে আপনি নিজেই দক্ষ হয়ে যাবেন। অনলাইনে আয়ের অনেক অনেক সুযোগ এবং পথ রয়েছে। অনেক বেকার যুবক অন লাইনের আয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে বেকারত্ব হ্রাস করেছে। ছাত্ররা তো এই অন লাইন থেকে বর্তমানে যথেষ্ট উপার্জন করছে। সমসাময়িক কালে আউট সোর্সিং বা অন লাইন ইনকাম বেশ ভালো একটা পেশা ও ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাইলে এ সুবিধাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে।

তথ্য প্রযুক্তির পথে যারা সামান্য পারিশ্রমিক নিয়ে আমাদের সাহায্য করবেন। তারা শতভাগ সততা প্রদর্শন করবেন এমনই প্রত্যাশা। কারণ অন লাইনে তাদের সেবা সম্পর্কে খারাপ ধারণা তাদের জীবিকার পথেই বাঁধা সৃষ্টি করবে। তাই এ দিক বিবেচনা করলে পেশা হিসেবে অন লাইনকে নিশ্চিন্তে কাজে লাগানো যায়। ই মেইল বা কোন কন্টেন্ট পড়া, ব্লগ লেখা, সোস্যাল মিডিয়ার পোষ্ট, পার্ট টাইম চাকুরী, ডাটাশীট এন্ট্রি ইত্যাদি হাজারো আয়ের পথ রয়েছে অন লাইনে। শুধু ইচ্ছা শক্তি এবং ধর্য্যকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করার মনোভাব আমাদের মধ্যে তৈরী করতে হবে। অন লাইনে এ সব ব্যাপারে অনেক ভালো পরামর্শও পাওয়া যায়। তাই এ ক্ষেত্রকে কাজে লাগানে উচিত।

বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন আপনার হাত, সুদৃঢ় হোক সহযোগীতার সুন্দর বন্ধন! সোস্যাল মিডিয়ায় বন্ধু হিসেবে পারস্পারিক সহযোগীতার মনোভাব থাকা জরুরী। হিংসা এবং স্বার্থপরতা কখনই কারো জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। চিন্তা করতে পারেন! সোস্যাল মিডিয়ার হাজারো বন্ধু মিলে কোন এক বিপর্যস্ত বন্ধুকে আশার আলো দেখালো। সবাই মিলে সম্মানের সাথে তার পরিবারকে খাবারের ব্যবস্থা করে দিলো। ভিখারী হয়ে নই, মাথা উচু করে বাঁচতে শেখালো। এমন সাহায্য চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব বন্ধুরা করতে পারে। আমাদের দেশে বেকারত্বের হার খুবই বেশী। ব্যক্তিগত ভাবে আমরা সবাই দেশের বেকারত্ব কমাতে এ ভাবে, চাইলেই সাহায্য করতে পারি।

তবে যে অন লাইনে কাজ করবে তাকে সকল বিতর্কিত বিষয় পরিহার করতে হবে। নিজের মান সম্মান বজায় রাখাও একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয়। তবে আমরা যেন বিতর্কিত না হই সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। কষ্টের বিষয় হলো আজ আমাদের সাথে যে বন্ধুটি সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত আছে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে। তাকে হয়তো ডাটা কেনার টাকাটা মা বা অন্য কারো কাছে চেয়ে নিতে হয়েছে। চেষ্টা করে তাকে এমন আর্থিক কষ্টের পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হবে। সকলের চেষ্টাই হয়তো হবে তার নতুন জীবন এবং ভালো ভাবে বাঁচার প্রেরণা।

বন্ধু বলতে নির্দিষ্ট কোন সম্পর্ক, লিঙ্গ, শ্রেণী বা বয়সকে চিহ্নিত করেনা, বন্ধু বন্ধুই অর্থ দিয়ে যে সাহায্য সহযোগীতা করতে হবে এমন নই। অন লাইনে আপনার মুল্যবান পরামর্শ ও সম্পৃক্ততা আপনার বন্ধুর জীবনের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাই বন্ধুত্বে বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত, সৃষ্টি হোক আশা ভরসা এবং ভালো ভাবে বাঁচার নতুন পথ।

Leave a Reply