
সুনিপুণ দক্ষতা অর্জন জীবনে সফলতা লাভের প্রথম চাবিকাঠি। সকল অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে একমাত্র দক্ষতাই পারে আপনার মনকে শান্ত রাখতে। যে কোন কাজের জন্য দক্ষতা বা সুনিপুণ দক্ষতা একটি বড় গুণ বা মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত। সবাই প্রায় সব কাজই করতে পারে তবে দক্ষ জনশক্তির দ্বারা সম্পাদিত কাজের ধরণ সম্পুর্ণ ভাবেই আলাদা। একই কাজ দু জন ব্যক্তিকে করতে দেয়া হলো, এর মধ্যে একজন সাধারণ যোগ্যতা রাখেন। অর্থাৎ কাজটি কিভাবে দ্রুততার সাথে এবং ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে হয় তার সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না। কাজটি কি ভাবে করতে হবে তা দেখে দিলে তিনি সেই ভাবে কাজটি করবেন।

অপর ব্যক্তি যিনি নির্দিষ্ট কাজটির বিষয়ে বিশেষ ভাবে পারদর্শী। তাকেও একই ভাবে, কাজটি কি ভাবে করতে হবে বুঝিয়ে দেয়া হলো। তিনিও কাজটি আর এক ভাবে সম্পন্ন করবেন। এখানে তার কাজটি একই সাথে নিখুঁত বা চমৎকার হবে। সময় ব্যয় কম হবে এবং অল্প পরিশ্রমে তিনি কাজটি সম্পন্ন করবেন। উপরের উদাহরণে তুলে ধরা দুই জনের কাজ সুনিপুণ দক্ষতার ভিত্তিতে বিচার করলে। সময়, পরিশ্রম এবং কাজের গুনগত মানে আকাশ পাতাল তফাত পরিলক্ষিত হবে। এখানে দ্বিতীয় ব্যক্তিটির দক্ষতার ফলে কাজটি বেশী গ্রহণযোগ্য হবে। কোন সন্দেহ নেই, দ্বিতীয় ব্যক্তিটির কাজের এই বিশেষ গুনাবলীই হলো সুনিপুণ দক্ষতা। যা তার বিশেষ ভাবে অর্জিত এক বিশেষ গুনাবলী।

হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন। আজকাল যে কোন কাজে বা চাকুরীতে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হলে। সেখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা বা অভিজ্ঞতা আবশ্যক বলে একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এ শর্তটি কিন্তু এমনি এমনি দেয়া হয়নি। অনেক কৌশল করে, কম সংখ্যক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে কাজের অধিক বা বেশী ফলাফল লাভের জন্যই এমন বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এখানে যে বিশেষ গুনটি চাওয়া হয়েছে। তা সুনিপুণ দক্ষতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ দক্ষতা একজন মানুষের কোন বিশেষ বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা নির্দেশ করে।

সুনিপুণ দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকলে। আপনি যে কোন জটিল পরিস্থিতিতে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে এবং সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন কৌশল সৃষ্টি করতে পারবেন। ফলে আপনি স্থিরচিত্তে দৈনন্দিন জীবনের সব সমস্যার সমাধান করে সফলতার পথে এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন।