সুখ কোন বস্তু নই অনুভূতি মাত্র, সুখী হবার জন্য সুখ নিজেই একটি পথ। কথাটি হয়তো এলোমেলো শুনাচ্ছে, তাই না। সাধারণ ভাবে ভাবুন, দেখবেন এটি খুবই সহজ, গ্রহণযোগ্য একটি বাক্য এবং বাস্তব সত্য। ভালোবেসে সুখী হতে, বলো কে না চায়। কেউ পায় আবার কেউবা হারায়, এ ভালোবাসা সুখকে ভালোবাসা, নারী পুরুষের ভালবাসা নই। আমরা সবারই চেষ্টা করি সুখী হবার। সৃষ্টির একটি মুল লক্ষ্য থাকলেও জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা সুখ কামনা করি। এবং চেষ্টা করি জীবনে সুখী হবার। মজার বিষয় হলো, আমরা কিন্তু দুঃখ বা কষ্ট চাই না। দুঃখ আমাদের জীবনের জন্য সুখের বিপরীত খারাপ কিছু বয়ে আনে।
আমাদের শান্তি পেতে হলে ভোগের পরিবর্তে ত্যাগে বিশ্বাসী হতে হবে। সুতরাং মানুষ হিসেবে সচরাচর আমরা আগে আমাদের লাভ দেখি। তাই শান্তির কথা বাদ দিয়ে আগে আমরা আমাদের সুখ খুঁজি। সুখকে খুঁজে পাবার নির্দিষ্ট কোন পথ নেই, সুখীর মাঝেই সুখ নিহিত। ধরুন, অনেক পরিশ্রমের পর আপনি দুপুরে আহার করলেন। পরিতৃপ্তির পর সুখের আশায় আপনি একটু বিশ্রাম চাইছেন। যা হোক আপনি বিশ্রামের সুযোগও পেলেন। এখানে বিশ্রামের প্রবল সুখানুভূতি কিন্তু সুখের পরবর্তী ধাপ ঘুমকে আপনার কাছে টেনে আনার চেষ্টা করবে। এবার আপনি নিজেই চিন্তা করুন, আপনি সুখকে খোঁজেন, না সুখই সুখকে খুঁজে নেয়।
আমাদের বাস্তব জীবনে চাহিদার বিন্যাস এমন ভাবে সাজানো যে, একটার পর একটা সুখের চাহিদা ধারাবাহিক ভাবে আসতেই থাকবে। আপাত দৃষ্টিতে আপনার আমার মনে হতে পারে। আমি বা আমরা নিজেদের সুখের জন্য, কোন একটি কাজ করছি। কিন্তু আসলে আমরা এ ক্ষেত্রে চালকের ভূমিকা পালন করছি মাত্র। আপনার বা আমার ক্ষেত্রে সুখ নিজেই পরবর্তী সুখের চাহিদার দিকে চলে যাবার নির্দেশ দেয়। আমরা শুধু মরিয়া হয়ে তার পেছন পেছন ছুটি মাত্র। অনেকেই হয়তো এ কথা টি মানতে চাইবেন না। হয়তো তাদের উত্তর হবে, সুখ সময়ের দাবী! আমি নিজেও এ ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করছি না।
সময়ের দাবী হলেও সুখকে খুঁজে নেবার পথ আমরা নই, সুখই করে। আপনি যদি গভীর ভাবে সুখের চাহিদা এবং ধারাবাহিকতা পর্যবেক্ষণ করেন। তবে আশা করি বিষয়টি আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।