
জরাজীর্ণ অতীতের পিছুটান উপেক্ষা করুন। উন্নতি সমৃদ্ধি ও সুন্দর সোনালীর পথে এগিয়ে চলুন। আপনার অতীতের কিছু স্মৃতি, কিছু কথা, তিক্ত অভিজ্ঞতা কিছু কষ্ট গাঁথা বার বার আপনাকে জরাজীর্ণ অতীতের কাছে নিয়ে যাবে। ফলে আপনি উন্নতির পথে পেছনে পড়বেন। নিজের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আপনাকে সফলতার বন্ধুর পথ ধরে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছার চেষ্টা করতে হবে। তিক্ত অতীতের গ্লানি ব্যাথা আপনাকে প্রভাবিত করে ব্যর্থতার সৈকতে রাখার চেষ্টা করবে। দুই বিপরীত শক্তির মধ্যে আপনার আত্মশক্তি প্রবল হলে। আপনি তর তর করে উন্নতি ও সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন। আর অতীত স্মৃতির শক্তি বেশী হলে আপনি সমুলে ধ্বংস হবেন। এখানে বিবেচনা আপনার, উন্নতিও আপনার।

সুতরাং গভীর ভাবে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন কি করবেন! আমাদের মধ্যে প্রায় সবারই, অতীতকে নিয়ে নড়াচড়া করবার অভ্যাস আছে। এটা আবার দুঃখ, গ্লানি ও ব্যর্থতাকে নিয়ে। অতীতের অনেক সুখকর ও ভালো অভিজ্ঞতার কিছু অর্জন আমাদের সবার আছে। কিন্তুু সে সব নিয়ে আমরা ভাবতে নারাজ। কারণ এ সব সুখের স্মৃতি নিয়ে ভাবলে আমরা ভালো থাকবো। ভাল থাকার ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের সার্বিক চেষ্টা কিন্তু খুব বেশী নই। ভালো নাই, এ ক্ষেত্রে ভাগ্য বা বিধাতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষী আমরা নিজেরাই। সুতরাং জরাজীর্ণ অতীত থেকে বের হবার জন্য নিজেকে চেষ্টা করতে হবে।

অনেকে নিজের কিশোর, যৌবনকাল এবং বৃদ্ধা বয়সে ভাল আছেন। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। এমন ব্যক্তিদের সদয় অবগতির জন্য জানাতে হয়। এমন উদাহরণ নিজের বয়সের জন্য একটা প্রতীক মাত্র। প্রকৃত পরিস্থিতিতে পড়লে এবং সময়ের প্রয়োজনে আমরা কি সিদ্ধান্ত নিই, সে সবের বিবরণ থাকে না। সুতরাং অতীতে আপনি কি ছিলেন আর ভবিষ্যতে আপনি কি হতে চান। তার সুকৌশল বা পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং জীবনে সফলতার পথে এগিয়ে চলা সম্পুর্ন ভাবেই আপনার উপর নির্ভর করে। জরাজীর্ণ অতীতকে সামনে টেনে আনুন নিজেকে উৎসাহ দেবার জন্য। একটা সংগ্রামী মনোভাব সৃষ্টি করবার জন্য, দেখবেন আপনি ঠিক সফল হবেন।

অনেক বাঁধা বিপত্তি এবং পিছুটান উপেক্ষা করে যদি আপনি দৃপ্ত পদক্ষেপে জীবনে উন্নতির পথে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। তবেই আপনি হবেন, একজন সফল মানুষ। নতুবা এক জনমের যন্ত্রণা কষ্ট নিয়ে আপনাকে জরাজীর্ণ অতীত জীবনের কাছে পরাজয় মেনে নিতে হবে।