Medicine গ্রহণে কসাই নই, ভালো ডাক্তারের প্রয়োজন। বর্তমানে চিকিৎসা সেবা নেয়া ও Medicine কেনার বিষয়টি যেন দেশের মানুষের জন্য সোনার হরিণ। এ চিত্রটায় দেশের জনগণকে শতকরা হিসেবে ধরলে নব্বই জনই এ দলে পড়ে। এর কারণ হলো, ডাক্তারদের অতি উচ্চ মাত্রার ফি এবং নিশ্চিত অপ্রয়োজনীয় ল্যাব বা প্যাথলজিক্যাল টেস্টের ছড়াছড়ি। যার ব্যয় ভার শতকরা দশ জন উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত বহন করতে পারলেও অন্যদের পক্ষে বহন করা অত্যন্ত কষ্টকর। ঠিক এই কারণে অধিকাংশ লোকই ছোট খাট রোগে ডাক্তারের কাছে যায় না। তারা ফার্মেসী হতে সমস্যার কথা বলে Medicine ক্রয় করে।
আর যেহেতু সকল ফার্মাসিস্টরা R.M.P বা L.M.F করা তাই এ ক্ষেত্রে তাদের Medicine দিতে বেশী সমস্যা হয় না। এ দিক থেকে এটা ছোটখাট রোগ নিরাময়ে গরীব লোকের জন্য খুবই সহায়ক হচ্ছে। অনেক পুরাতন রোগী তাদের বিভিন্ন রোগের জন্য ফার্মেসী হতে নির্দিষ্ট নাম বলে ঔষধ কেনে। এর ফলে আমাদের সাময়িক উপকার হলেও জটিল রোগের উপসর্গের ক্ষেত্রে একটা মারাত্মক ঝুঁকি থেকে যায়। এই সাময়িক Medicine গ্রহণ হয়তো তলে তলে দেহে কোন জটিল বা বড় রোগের সৃষ্টি করছে। যা আমরা বুঝতে পারছি না আবার এমমিবিএস ডাক্তারের কাছে যে যাবো, তাও পারছি না।
মুল্য বৃদ্ধির সাথে তালে তাল মিলে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সব কিছুর দাম বেড়েছে। বর্তমান যুগে একটা এমবিবিএস ডাক্তারের সার্টিফিকেট পাওয়া অর্থ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়। তাই আমাদের দেশের প্রায় সব ডাক্তারের লক্ষ্যই থাকে ডাক্তার হবার পর তার হাজার গুণ উসুল করা। তারপরও দেশের সাধারণ মানুষ যেন তাদের সঠিক রোগটি জানতে পারেন। সেই মোতাবেক সঠিক Medicine গ্রহণ করে সুস্থ্য হতে পারেন, সেই মহৎ মানসিকতা থাকা উচিত। খুব কম সংখ্যাক হয়তো হাজারে এমন একজন দয়ালু এবং ভালো ডাক্তার আছেন। যারা রোগী নিয়ে, রোগ এবং রোগের নিরাময় নিয়ে ভাবেন। রোগীর কাছ হতে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌসুল নিয়ে নই।
সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও, অনেক ডাক্তার আজও আছেন। যারা নিয়ম করে গরীব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমনকি তারা নিজের উপার্জিত অর্থ হতে রোগীর জন্য ফ্রি Medicine ও কিনে দিয়ে থাকেন। জয় হোক এমন মহানূভব ও মানব দরদী ডাক্তারদের। সৃষ্টির সেবা এক অর্থে স্রষ্টার সেবা। এ দিক থেকে এমন ডাক্তারদের জীবন ধন্য। রোগীকে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু করে। বিভিন্ন ল্যাবরেটরী থেকে অপ্রয়োজনীয় টেষ্টের নামে পার্সেন্টেজ নিয়ে কাড়ি কাড়ি অর্থ অর্জন করে কোন লাভই নেই। না পারবেন, এক জীবনে সব খেতে, না পারবেন সম্পদ কবরে নিয়ে যেতে।
সুতরাং ডাক্তাররা যদি রোগীদের বাধ্য হয়ে ফার্মেসী হতে Medicine কেনা থেকে বিরত করতে চান। রোগীর প্রকৃত ভালো চান তবে ডাক্তারদের উচিত হবে লাভ এবং লোভের পথ বর্জন করে রোগীর আরোগ্য লাভে সহায়ক হওয়া। আকাশচুম্বি ডাক্তারের ভিজিট নেয়া থেকে বিরত থাকা। নির্দিষ্ট কোম্পানী ও ফার্মেসী হতে ঔষধ কিনতে বাধ্য না করা।
ডাক্তারদের উচিত হবে ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারগুলো হতে টেষ্টের নামে রোগীকে নিঃস্ব করে অর্থ হাতিয়ে নেবার পথ বর্জন করা। সঠিক চিকিৎসার একান্ত প্রয়োজনে, প্রয়োজনীয় ল্যাব টেষ্টটি অবশ্যই করাতে হবে। চিকিৎসক নামের মানুষরূপী ফেরেস্তার প্রতীক তখন হয়তো ডাক্তাররাই হবেন, অন্য কেউ নই।