যারা আত্ম নির্ভরশীল এবং স্থির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে তারাই সফলতা লাভ করে। কোন কাজে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে যদি কারও সাহায্য না পাওয়া যায়। তবে কাজটি করার জন্য নিজের মধ্যে এক ধরণের জেদের সৃষ্টি হয় এবং কাজটি একাই করা সম্ভব হয়। এখানে এই তৃতীয় পক্ষ আপনার ক্ষতি করতে গিয়ে, পরোক্ষ ভাবে উপকার করে আপনাকে সফল হতে সাহায্য করেছে। সুতরাং যারা আপনাকে সাহায্যের পথে বাঁধা দিয়েছিল, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। কারণ তাদের বাঁধার কারণেই আজ আপনি নিজের কাজ নিজেই করতে শিখেছেন। নিজের ভালো সবাই চায়। কিন্তু যখনই আপনি কাজ বা পরিশ্রমের দ্বারা ভালো থাকার চেষ্টা করবেন। তখনই মানুষ আপনাকে হিংসা করবে।
যারা চারিত্রিক নোংরামী দ্বারা চালিত হয়, তারাই অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। সমাজের অনেকেই বিকৃত মানসিকতার বিকৃত তৃপ্তি পাবার আশায় এমন নোংরা কাজ করে। আর এখানেই, অন্যের হিংসাত্মক মনোভাবে আপনার সাফল্যের সৃষ্টি হয়। সমাজের শতজন শত চেষ্টায় আপনার উন্নতিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাদের বাঁধাতে উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং কর্ম ক্ষমতাকে হারিয়ে ফেলা উচিত নই। মনের ভিতর একটা জেদ তৈরী করতে হবে। শত বাঁধা অতিক্রমের এ জেদ এক সময় শক্তিতে রুপান্তরিত হবে। প্রতিভা বা মেধা সবার মধ্যেই কম বেশী আছে। জীবনের প্রয়োজনে সুপ্ত প্রতিভার প্রকাশ নিজেকে করতে হবে। মনের মনিকোঠায় যদি উন্নতির স্বপ্ন থাকে। তবে তার বাস্তব রুপদানে নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে।
এটা সত্য যে, আপনার চলার পথে বা উন্নতিতে যারা বাঁধা হয়ে আপনার সার্বিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করে। তারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং নীচ মানসিকতার মানুষ। বস্তুত, হিংসার প্রবৃত্তিতে তাড়িত হয়ে অন্যের ক্ষতি করার মানসিকতা আমাদের জন্মগত বৈশিষ্ট। সব চেয়ে বড় কথা হলো, যত বাধাঁ বা হিংসা আসুক না কেন। আপনি যদি উন্নতির পথে অবিচল থাকতে পারেন তবে সাফল্য সুনিশ্চিত। আর ধৈর্য্যকে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়ার মানসিকতা তৈরী করা অপরিহার্য। উন্নতির পথে হিংসায় সব ক্ষেত্রে প্রতিবাদ নই, আপনার যে অমিত শক্তি রয়েছে তার ব্যবহার করে দেখিয়ে দিন! বাঁধা আসলে কি হবে, আপনিও পারেন। তবে নিজের বিবেক বা নীতির কাছে পরিস্কার থাকতে হবে।