বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের মানবিকতা। সবার মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির খুবই অবমুল্যায়ন হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাপী মহামারী করোনার কড়াল থাবায় অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। এ যেন ধ্বংসের তান্ডব লীলার এক মহা প্রলয়। মহামারি করোনার দ্রুতগতির সংক্রমনে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে কাতারে কাতারে মানুষ মারা যাচ্ছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই করোনার শিকার হচ্ছি। আশার কথা হলো, প্রতিষেধক হিসেবে সাধারণ পথ্যের পাশাপাশি প্রতিরোধক হিসেবে বিশেষ টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট বয়স সীমার শিশু ব্যতীত সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস জিন তন্ত্রের গঠনে ভিন্ন রূপ যোগ করেছে।
জিন তন্ত্রের গঠন ভেদে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের অনেক গুলো প্রকার আবিস্কৃত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ও বেশী বানিজ্য সুবিধা থাকার ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা আমাদের দেশে বেশী বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। করোনার এ ধরনের সংক্রমনে মানব দেহে এর ক্ষতিকর প্রভাব এতো দ্রুত যা অকল্পনীয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চীনে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হার সারা পৃথিবীতে আতংক সৃষ্টি করেছিল। সে সময় থেকে দেশের জনগণের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন মেয়াদে লক ডাউন দিয়ে আসছে। সরকার জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে উৎসাহ প্রদান করে। একই সাথে বিভিন্ন সংস্থা স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচারণা বৃদ্ধির চেষ্টা করে।
সরকারের সার্বিক করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং সচেতনতা সংক্রান্ত কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে তা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন হার অনেক কমে এসেছে। সরকারের বিভিন্ন ধরনের জন কল্যাণকর বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত আছে। গত বছর বিশ্বে যখন করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তখন আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রচার ও সম্প্রচার মাধ্যমে জনগণের কিছু বিকল্প এবং ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় এবং প্রচার মাধ্যমে অনেক সেলিব্রেটি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজের আমলাগণ সহ কতিপয় মানুষ। এক কেজি চাল বা একটা মাস্ক প্রদানের চিত্রে হুটোপুটি খাচ্ছেন। আজ যখন মানবিকতা বিপর্যস্ত তখন এদের দেখা মিলছে না। হয়ে পরেছে, এখন তার
কেন তারা সরকারের পাশাপাশি বিপর্যস্ত মানুষের জন্য নিজেদের সাহায্যের হাত প্রসার করছেন না। তা হলে বিষয়টি কি শুধুই লোক দেখানোর ছিল। যদি তাই না হবে তবে, সরকারের সাথে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেই কেন। তারা যদি সরকারের পাশে থাকতো তবে, দেশের নিম্ন পেশাজীবি মানুষ ও মধ্যবিত্তরা অনেকটা বেঁচে যেত। তার মানে তারা ছিল লোক দেখানো শীতের পাখী। সরকার এখন পর্যন্ত করোনা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার নিজের বাঁচার জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা জরুরী। জরুরী মাস্ক পরিধান করা এবং নিজের হাত সহ নিজেকে পরিস্কার রাখা। এ সব সচেতনতা ও প্রচার কাজ সরকারে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা মহামারী রোধে এ দেশের সরকার ও শাসন ব্যবস্থা যথেষ্ট সচেতন। তারপরও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় যথেষ্ট অনীহা লক্ষণীয়। বিপর্যস্ত মানবিকতার পুনুরুদ্ধারে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সচেতনতার একান্ত প্রয়োজন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একমাত্র পারে মহামারী করোনাকে প্রতিহত করতে। তাই আসুুন, আলোচনা সমালোচনা ছেড়ে আগে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।