নারীর সীমাহীন লোভ ও স্বার্থ চিন্তা, রক্ষিতা তৈরীর ইন্ধন। কথাটি খারাপ শোনালেও বর্তমান আধুনিক সমাজের জন্য এ কথাটি মানানসই। যে ভাবে হিসেব করুন না কেন, পুরুষের তুলনায় নারীর লোভ, স্বার্থপরতা এবং স্বার্থচিন্তা বরাবরই অনেক বেশী। অনেকে নারীর লোভকে এক বাক্যে, পরিস্থিতির স্বীকার, না জেনে কথা বলবেন না। বা করার কিছুই ছিল না, এ জাতীয় জবাব দিয়ে সব সময় একপেশে নীতির বা পক্ষপাতিত্বের পরিচয় দেন, যা সত্য নই। আসলে, একজন নারী তার বেশী লোভ এবং স্বার্থপরতার কারণে নিজের দেহকে অন্যের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে। সামাজিক, ধর্মীয় ও আইনগত অনুমোদনহীন এমন সম্পর্ককে এক কথায় দেহ ব্যবসা বলে। প্রচলিত ধারণাও এটাই বলে।
আমাদের দেশে এমন অনৈতিক সম্পর্ককে রাষ্ট্রীয় আইন, ধর্মীয় আইন এবং সমাজ কোন ভাবেই সমর্থন করে না। বিভিন্ন আইন কে কাঁচা কলা দেখিয়ে আড়ালে উঁচু দরের নারীরা দেহ ব্যবসা করছে। তারই বিভিন্ন খন্ড চিত্র আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমে দেখতে পাই। প্রশ্ন হলো এমন চারিত্রিক অধঃপতনের জন্য আসলে দায়ী কে। নিঃসন্দেহে এর উত্তরে সবাই বলবে, একটি মেয়ে নিজেই এর জন্য প্রায় পুরোপুরি দায়ী। বাকী যে দায় বদ্ধতা তার জন্য, তার নিজের পরিবার এবং অভিভাবক মহল কে দায়ী করা যায়। কলেজ বা ইউনিভার্সিটিগামী বাড়ীর মেয়ের ঘরের বাইরের সময়টা। নিবিড় ভাবে মনিটরিং এর দায়িত্ব কিন্তু তার পরিবারের।
বর্তমান সামাজিক চিত্রে, যৌবনবতী থেকে শুরু করে মধ্য বয়স পর্যন্ত অনেক নারীর মুল অস্ত্র রুপ লাবণ্য। এটাকে পুঁজি করে তারা সমাজ ও ধর্মের অনুশাসনকে কাঁচকলা দেখাচ্ছে। অভিজাত সমাজের উচুঁ স্তরের ব্যক্তিদের দৈহিক লালসা চরিতার্থ করে তারা রক্ষিতায় পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে তল্লাশী, নারীর আত্মহত্যা বা হত্যার যে স্বাভাবিক চিত্র আসে। এবং বর্তমানে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে যা প্রকাশ পায় তাতে এ চিত্রটি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। পশ্চিমা নোংরা সংস্কৃতিকে পরিহার করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে এবং সামাজিক মর্যাদা বিচার করে। নারীদের এ জাতীয় নোংরামীপনা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। একই সাথে সন্তানের অধঃপতন রোধে মাতা পিতা, পরিবার এবং অভিভাবক মহলের সচেতন থাকা উচিত।