গতিশীল জীবনে উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করুন কঠিন কাজ দিয়ে। কারণ নিজেকে চেনা বা জানার মত কঠিন কাজ আর কিছু নেই। নিজেকে চিনতে পারলে সব কাজে সফল হাওয়া সম্ভব। আমরা নিজেদের জায়গায় সবাই ভালো ভাবে কাজ করতে চাই। বা ভালো ভাবে কাজ করতে পারি। যে কাজটি আমি করতে পারি ঠিক তার পরের ধাপের কাজটি আমাদের কাছে কঠিন এক প্রতিযোগীতা মনে হয়। প্রায় সব মানুষের মধ্যেই বিশেষ এবং বহুমুখী প্রতিভা লুকানো থাকে। অনেকেই এ প্রতিভা সম্পর্কে জানেন না বা জানলেও পারত পক্ষে এটাকে গতিশীল কোন কাজে ব্যবহার করেন না। এ বহুমুখী প্রতিভাকে আসলে কর্মমুখী প্রতিভা বলে, যা কঠিন কাজের মোকাবেলা করে।
ধরুন, আপনাকে কোন একটি কঠিন কাজ করতে হবে। সাধারণত স্বাভাবিক নিয়মে আপনি কাজটি করতে চাইবেন। কোন কারণে সফল হতে না পারলে বিকল্প পথ ধরে এগুবেন। এ ভাবেও কাজটি করা সম্ভব না হলে আপনি কিন্তু বসে থাকবেন না। আপনি ঠিকই অন্য আর একটি বিকল্প পথে কাজটি শেষ করবেন। আপনার একটার পর একটা কাজ করার এই পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া একটি বহুমুখী প্রতিভা। আসলে নিজেকে চেনার কঠিন কাজ বলতে এ বিশেষ প্রতিভাকে কাজে লাগানো বুঝাচ্ছে। কাজে বাঁধা আসায় আপনি দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিকল্প যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, তা সবার মধ্যেই কম বেশী আছে। কাজের গতিশীল ধারা ঠিক রাখতে, এর কোন বিকল্প নেই।
মেনে নিতে কষ্ট হলেও সত্য, আমরা সবাই বাস্তব জীবনে প্রয়োজনের খাতিরে আসলে প্রতিনিয়ত বহুরুপী আচরণ করছি। আপনার অন্তর কেমন, এর চাহিদা বা পছন্দ অপছন্দের একটি স্পষ্ট ছবি প্রতিটি মানুষের ভিতরে আঁকা আছে। কি পড়াশুনা বা কোন কাজটি আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারবেন তা কিন্তু একমাত্র আপনিই জানেন। যদি নিজের মনের ইচ্ছা বা চাহিদাটুকু বের করতে পারেন। তবে কর্মক্ষেত্রে শুভ কাজের পরিকল্পনা, সহকারী উপকরণ বা উপাদানের যোগান দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনার প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো, প্রতিভা খুঁজে বেড় করা। এটাকে গতিশীল জীবনের কাজে লাগিয়ে, সামনে এগিয়ে যাওয়া। তা হলেই আপনার গতিশীল কর্ম পথ অনেকটা সহজ ও প্রশ্বস্ত হবে নিঃসন্দেহে।
পৃথিবীতে যত কাজ আছে তার মধ্যে কঠিন কাজটি হলো নিজেকে চেনা বা চিনতে পারা। জীবনকে গতিশীল করতে হলে আগে নিজেকে চেনা খুবই জরুরী। নিজেকে চিনে জেনে এবং নিজের মনটা আসলে কি চাইছে তার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। তাবেই আপনার জীবনে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।