কাজের সক্ষমতা জীবনে সফলতা লাভের সহায়ক পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম। আপনার এ গুনাবলী আসলে কাজের ক্ষেত্রে আপদ কালীন বা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের দক্ষতাকে বোঝায়। আমাদের জীবনে সব ক্ষেত্রে প্রতিদিনের করা কাজ গুলোর মধ্যে একটি প্ল্যান বা পরিকল্পনা সাজানো থাকে। এ পরিকল্পনা কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আপনা আপনিই চলে আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার কোন কাজ করার পূর্বে নতুন করে কৌশল বা ছক আঁকতে হয়। আপনি হয়তো আশ্চর্য হয়ে বলবেন, তা কি করে সম্ভব? উত্তরে বলতে হয়, হাঁ এমনটাই হয়। ধরি, আপনি বাজারে যাবেন সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য।
এখানে প্রথমেই আপনি একটি তালিকা তৈরী করবেন। কোন কোন জিনিস কেনার জন্য একটু সকালে বাজারে যেতে হবে না হলে সে সবের গুনগত মান ভালো হবে না। আবার জিনিস গুলো কি ভাবে বা কোন পাত্রে আনবেন তাও ঠিক করে রেখেছেন। তালিকায় অন্য দ্রব্যের সাথে মাঝারি সাইজের দশ কেজি ইলিশ মাছও আছে। আপনি বাজারে গিয়ে ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্ল্যান পরিবর্তন করলেন। দশ কেজির পরিবর্তে পাঁচ কেজি ইলিশ মাছ ক্রয় করলেন। কোন সন্দেহ নেই, এখানে বাজার করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার সব কাজ। সেই সাথে ইলিশ মাছের পরিমান কমিয়ে বিকল্প পদক্ষেপ নেয়া, আপনার কাজের সক্ষমতা নির্দেশ করে।
উপরের উদাহরণে কাজের সক্ষমতা কিন্তু নিজের অজান্তেই আপনি আপনার মধ্যে লালন ও ধারণ করেছেন। হয়তো খেয়াল করে থাকবেন। আজ কাল চাকুরীতে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে। পূর্ব অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ বিজ্ঞাপন দাতারা জানেন, এমন ব্যক্তিদের কাজের সক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী। কাজের সক্ষমতা একটি অনুপম যোগ্যতা। যা নিখুঁত ভাবে কর্ম পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। এ বৈশিষ্টের ফলে আপনি যে কোন কাজ সুচারু রুপে সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনার ভিতর সক্ষমতা থাকলে উন্নতির পথে ও কর্ম ক্ষেত্রে বাঁধাগ্রস্থ হলে। খুব সহজে ও দ্রুততার সাথে বিকল্প পথে এগুতে পারবেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আয়ত্মের বাইরে গেলে। নিজের সক্ষমতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিপদে পড়লে বিকল্প পথ কি হবে, সেটা আগেই ভাবতে হবে। কোথা থেকে এবং কোন সাহায্য সবার আগে নেব সেটা কাজের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের সক্ষমতা রয়েছে, জীবনে উন্নতির পথে, সেই সাফল্য লাভ করবে।