ইবাদত প্রার্থনা বা ধ্যান জীবনে সফলতা লাভের কার্যকরী পদ্ধতি এবং মনকে শান্ত রাখার অনুপম কৌশল। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে স্ব স্ব ধর্মীয় প্রয়োজনীয় কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে পরোক্ষ ভাবে জীবনে সফলতার গতি বৃদ্ধি পায়। অনেকে হয়তো আশ্চর্য হবেন এই ভেবে যে ইবাদত প্রার্থনা বা ধ্যানের সাথে জীবনের সফলতার সম্পর্ক আছে না কি। হাঁ, অবশ্যই আছে এবং বেশী পরিমানেব, আছে। জানেন নিশ্চয়, অস্থির মতি বা চঞ্চল চিত্তের মানুষ জীবনে কোন কাজই সঠিক ভাবে করতে পারে না। হয় তারা কাজটির শুরুতে সব ভজঘট পাকিয়ে বসবেন নইতো মাঝখানে অথবা শেষে। এক মাত্র মনস্থিরের মাধ্যমেই এ থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
যে কোন কাজ ভালো ভাবে বা উত্তম রুপে সম্পন্নের জন্য ধীর স্থির মনোভাবের সাথে ইবাদত একান্ত প্রয়োজন। নতুবা সব পরিশ্রম, অর্থ ব্যয় এবং পরিকল্পনা বৃথা যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে। তাই জীবনে সফলতা লাভের জন্য কর্ম, মেধা, মননশীলতা এবং চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রে। চঞ্চলতা পরিহার করে নিজেকে স্থিতিশীল অবস্থানে রাখতে হবে। এর ফলে আপনি জীবনে সফলতার জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ করতে পারবেন। কাজ বাস্তবায়নে গতিশীলতা আসবে। আপনি লাভবান হবেন এবং কোন কারণে কাজে বাঁধার সম্মুখীন হলে স্থির চিত্তে বিকল্প প্ল্যান কার্যকর করতে পারবেন।
ইবাদত, প্রার্থনা, উপসনা বা ধ্যান যাইই বলি না কেন। তা প্রতিটি ধর্মের জন্য অবশ্য পালনীয় বা অত্যাবশ্যকীয় বিধান। এখানে কোন ধর্মের আচার বা রীতি নীতিকে আমি প্রাধান্য দিচ্ছি না আবার খাঁটোও করছি না। মুল প্রসঙ্গে হলো, উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন ধর্মীয় আচার বা রীতি নীতি নিয়মিত ভাবে পালনের ফলে আপনার মনে একটি দৃঢ়তা আসবে। একই সাথে আপনার ব্যক্তিত্বও শক্তিশালী হবে। এতে যে কোন সমস্যায় আপনি সব সময় অবিচল থেকে তার মোকাবেলা করতে পারবেন। বা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ধর্মীয় ভাবে লাভের পাশাপাশি আপনি এ দিক থেকেও লাভবান হবেন।
ইবাদত, ধর্মীয় নিয়মাবলী পালন বা ধ্যানের মাধ্যমে। নিজের মানসিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করলে জীবনে উন্নয়নের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হয়। একই সাথে স্থির লক্ষ্যের মাধ্যমে টেকসই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাই ইবাদত, প্রার্থনা বা ধ্যানের অনুশীলন উন্নয়নের একটি অনুপম পন্থা হিসেবে বিবেচিত। আমাদের প্রত্যেকেরই এ কৌশলটি অনুশীলন করা উচিত।